বুমরাজ-সিরাজদের গালি দিয়ে গ্যালারি থেকে বহিষ্কৃত দর্শক

শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে। তাদের অভিযোগ ছিল, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এসসিজি) গ্যালারি থেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালির পাশাপাশি বর্ণবাদী মন্তব্য করা হয়েছে দুই পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও জাসপ্রিত বুমরাহর উদ্দেশ্যে।

আজ (রোববার) ম্যাচের চতুর্থ দিনও ঘটল একই ঘটনা। তবে এবার আর পার পাননি সেসব দর্শকরা। সিরাজ-বুমরাহদের গালি দেয়ার অপরাধে তাদের বের করে দেয়া হয়েছে গ্যালারি থেকে। সেই ঘটনায় প্রায় দশ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল সিডনি টেস্টে। পরে আম্পায়ার ও নিরাপত্তাকর্মীদের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।

ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসের ৮৭তম ওভারের। সেই ওভার শুরুর আগে ফাইন লেগ থেকে দৌড়ে আসেন মোহাম্মদ সিরাজ। দুই আম্পায়ার পল রাইফেল ও পল উইলসনকে অভিযোগ করেন গালাগালির ব্যাপারে। তখন পুরো ভারতীয় দল জড়ো হয় উইকেটের কাছে। আম্পায়াররাও গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন বিষয়টি।

শেষমেশ নিরাপত্তাকর্মীরা র‍্যান্ডবিক এন্ডের ব্রেওঙ্গেল স্ট্যান্ডে গিয়ে খুঁজে বের করেন এই এহেন কাণ্ড ঘটানো সেই সব দর্শকদের এবং বের করে দেন মাঠ থেকে। মাঠের নিরাপত্তাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশকেও আসতে হয় তখন। এ পুরোটা সময় ভারতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গেই ছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন।

এ বিষয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির প্রধান শন ক্যারল বলেছেন, ‘দর্শকদের দ্বারা খেলোয়াড়দের গালিগালাজের বিষয়টি কখনও মেনে নেয়ার মতো নয়। ভারতীয় দলকে ধন্যবাদ জানাই তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য। আমরা এখন এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করব।’

এদিকে দিনের খেলা শেষে ভারতের অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছেন, তাদের জন্য এমন বিষয় নতুন নয়। এর আগেও এমন নেতিবাচক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। বাউন্ডারির কাছে থাকা মানুষগুলো এমনটা বেশি করে থাকে বলেছেন এ অফস্পিনার।

অশ্বিনের ভাষ্য, ‘অস্ট্রেলিয়া ও সিডনিতে এটা আমার চতুর্থ সফর। অতীতেও এমন বেশ কিছু বাজে অভিজ্ঞত আমাদের হয়েছে। আমার মনে হয়, এক-দুইবার খেলোয়াড়রাও জবাব দিয়েছে এবং যে কারণে ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। এতে কিন্তু খেলোয়াড়দের দোষ ছিল না। দর্শকরাই খুব বাজে ভাষা ব্যবহার করে থাকে।’

উল্লেখ্য, চতুর্থ দিন শেষে জমে উঠেছে সিডনি টেস্ট। সোমবার ম্যাচের শেষদিন জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ৮ উইকেট, ভারতকে করতে হবে ৩০৯ রান। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৩৩৮ রান। জবাবে ভারত থামে ২৪৪ রানে। অসিরা পায় ৯৪ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩১২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ফলে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৪০৭ রান।